travis head cwc23 final / হাত ভেঙে যাওয়ায় ছিটকে যান ট্রেভিস হেড, তারপরও তাকে বিশ্বকাপ দলে রাখে অস্ট্রেলিয়া, চোটের কারণে খেলতে পারেননি বিশ্বকাপে দলের প্রথম ৫ ম্যাচ, শেষ পর্যন্ত তিনিই সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালের নায়ক ট্রেভিস হেড। ট্রেভিস হেড। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ এর ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ে ট্রেভিস হেডের ১৩৭ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর একটা কথা ক্রিকেট পাড়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার মত যদি তামিম ইকবালের উপর আস্থা রাখতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাহলে দেশের ক্রিকেট ভালো কিছু পেত, যা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড হাত ভাঙ্গা ট্রেভিস হেডকে রেখে পেয়েছে।
২০১৮ সালের এশিয়া কাপের কথা মনে আছে সবার, সেই এশিয়া কাপের শ্রীলংকার বিপক্ষের ম্যাচে শুরুর অংশে হাতে চোট পান তামিম ইকবাল। এরপর শেষ অংশে যখন বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় চলছিল ঠিক ওই সময় হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তামিম। এক হাতে ব্যাটিং করেছেন।
ভাঙ্গা হাত নিয়ে তামিম নেমে পড়ার পর মুশফিকুর রহিম করেছিলেন ১৪৪ রান। বাংলাদেশ সেই ম্যাচে জিতেছিল। তামিম ইকবালের সেই বীরত্ব গাধার কথা মনে আছে সবার কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তামিমের সেই বীরত্বের দাম দিল কয়? এবারের বিশ্বকাপের শুরু আগ মুহূর্তে বহু নাটক করে তামিমকে দল থেকে বাদ দিয়েছে তারা।
সিনিয়র ক্রিকেটার অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের উপর আস্থা রাখতে না পারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহামারী আকারে ধারণ করেছে। অন্যান্য ক্রিকেট দলগুলো অন্যান্য ক্রিকেট দেশের বোর্ড যখন দেশের ক্রিকেটার সিনিয়র ও অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেই, সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ ক্রিকেট।
সিনিয়রদের প্রাধান্য দিয়ে, অভিজ্ঞতার দাম দিয়ে ক্রিকেটারদের উপর আস্থা রেখে অস্ট্রেলিয়ার এই সাফল্য। বাংলাদেশ ক্রিকেট কি এর থেকে শিখবে? দেশের ক্রিকেটের ভরা রূপের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিল বোর্ড। এখনই যদি শিক্ষা না নেয়, তাহলে পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।