Shakib, Mashrafe, Papon | দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের ভক্তদের চোখ মাগুরার, নড়াইল এবং কিশোরগঞ্জের তিনটি আসনে। মাগুরা থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন সাকিব আল হাসান। নড়াইল থেকে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনজনই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত। ৭ জানুয়ারি ভোটের পর একটা প্রশ্নই উঠে এসেছে দেশের ক্রিকেট পাড়ায়। ২০২৫ সালে বিসিবির নির্বাচনে সভাপতি পদে কে আসবেন?
তালিকায় আছে মাশরাফি বিন মর্তুজা সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হাসান পাপনের নাম। নাজমুল হাসান পাপন আগেই জানিয়েছেন তিনি আর এক বছর আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে। এরপর সভাপতির পথটা ছাড়বেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই নাজমুল হাসান পাপন পরবর্তী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি কে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে দেশের সাধারণ ক্রিকেট ভক্তরা।
সেই তালিকায় জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম। টানা দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মাশরাফি বিন মর্তুজা নাকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতির পদে আসছেন।
বেশি দিন নির্বাচনে মাশরাফি ও সাকিবকে লড়াই করতে দেখা যাবে বলে গুঞ্জন উঠেছে দেশের ক্রিকেট বাড়ায়। নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদ ছাড়লে ২০২৫ সালের বিসিবি নির্বাচনে লড়তে পারবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা সেই ক্ষেত্রে জিতলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দেখা যাবে সাবেক টাইগার দলপতিকে।
তবে মাশরাফির জন্য কাজটা সহজ হবে না কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদ পাওয়ার জন্য আগ্রহী সাকিব আল হাসানও। কিন্তু সাকিব যদি ক্রিকেটের মধ্যে থাকেন সেই ক্ষেত্রে তার সভাপতি পদে নির্বাচন করাটা আইন বহির্ভূত হবে যা তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।
কিন্তু যদি ২০২৫ সালে নির্বাচনে এর আগে সাকিব ক্রিকেট ছাড়েন তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন করতে পারবেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার দেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানকে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভাপতি তাই কে হবেন এ নিয়ে এখন দেশের ক্রিকেট সে ভক্তদের মাঝে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াই জয়ী মাশরাফি সাকিবকে এবার দেখা যাবে বিসিবির সভাপতি পদের জন্য নির্বাচনে লড়াই করতে।