(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানঃ মোস্তাফিজের বাজে বোলিং! একাই লড়লেন ইয়াসির আলী! প্রথম ম্যাচেই হার বাংলাদেশের!

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান | ত্রিদেশীয় সিরিজ | বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় সিরিজ | নুরুল হাসান সোহান | সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম | ক্রিকেট নিউজ

বাজে বোলিংয়ের মহড়ায় শেষ ৪ ওভারে ৫১ রান হজম করার পর ব্যাটিংয়ে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের অভাবে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের মুখ দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। হ্যাগলি ওভালে এদিন পাকিস্তানের কাছে রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

এদিন টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। তার অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করেছেন নিয়মিত সহ-অধিনায়ক সোহান।

এদিন শুরুর দিকে ব্যাট হাতে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটারই তেমন ঝলক দেখাতে পারেননি। দলীয় ৫২ রানে অধিনায়ক বাবর আজম আউট হন স্লো ইনিংস খেলে। ২৫ বলে ২ রান করে আউট হন বাবর। তার উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি গড়েন শান মাসুদ।

তাদের এই জুটি থামে দলীয় ৯৪ রানে। ২২ বলে ৩১ রান করা মাসুদকে ফিরিয়েছেন নাসুম আহমেদ৷ এরপর দলীয় ১১২ রানে হায়দার আলীর উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ১৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে যেখানে পাকিস্তানের রান ছিল ১১৬ সেখান থেকে ২০ ওভার শেষে সেই রান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ তে। ডেথ ওভারে মোস্তাফিজের বাজে বোলিংয়ের মহড়ার সুযোগ নেন হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। মাঝে ইফতেখার আহমেদ ও আসিফ আলীর উইকেট তুলে নিলেও তাতেও থামানো যায়নি পাকিস্তানের রানের চাকা। ফলে ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। এদিন ৫০ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় ৭৮ রানের ঝড় ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান৷

জবাবে এই রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ব্যর্থ সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৩৭ রানেই সাজঘরে ফিরেন এই দুইজন। মিরাজ করেন ১১ বলে ১০ রান অন্যদিকে সাব্বির করেছেন ১৮ বলে ১৪ রান। এরপর লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের জুটি আশার আলো দেখালেও এই জুটি থেমে যায় ৫০ রানেই। দলীয় ৮৭ রানে ব্যক্তিগত ২৬ বলে ৪ চার ১ ছয়ে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন লিটন।

লিটনের পরেই গোল্ডেন ডাক মেরে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর দলীয় ৯৯ রানে সাজঘরে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ২৩ বলে ১ ছক্কা ১ চারে ২৫ রান করেছিলেন আফিফ। আফিফের পরেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক নুরুল হাসান। ৯ বলে ৮ রান করেন তিনি।

শেষের দিকে ব্যাট হাতে তান্ডব চালালেও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে দলকে জয়ের মুখ দেখাতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বি। ২১ বলে ৫ চারে ২ ছক্কায় ৪২ রানের ঝড় ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির আলী।

শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৭ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Enable Notifications OK No thanks