বেটউইনারের সাথে সাকিবের চুক্তি। কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিসিবি। এশিয়াকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ যেতে পারেন সাকিব আল হাসান।
বেটউইনারের চুক্তি বাতিল না করলে এশিয়া কাপে জায়গা হচ্ছে না সাকিবের এমনটাই বলেছেন বিসিবি। প্রশ্ন উঠেছে সাকিব আল হাসান কি দলে থাকবেন এশিয়া কাপে।মিনহাজুল আবেদীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির এখন এটাই বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। কারন নির্ধারণ করা হয়নি অধিনায়ক। অধিনায়কের আসল দাবিধার সাকিবই।এসিসির কাছ থেকে পাওয়া বর্ধিত সময়ের হিসাবে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই দল ঘোষিত করতে হবে। কিন্তু হয়নি এখনও দলঘোষিত।
তবে সাকিব আর বিসিবির মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা।
সাকিবকে এক বার্তা দিয়ে বেটউইনারের চুক্তি বাতিল করতে বলেছে বিসিবি। ওয়েবসাইট বেটউইনার নিউজের সঙ্গে সাকিবের করা পণ্যদূতের চুক্তি বাতিল করতে বলেন বিসিবি।
বিসিবির ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান বেটিং প্রশ্নে তাই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি তারা মেনে নেবে না। সাকিবের এ রকম একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হওয়াটা দেশের আইন এবং ক্রিকেট নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমনটাই মনে করেন বিসিবি।
সাকিব বর্তমান অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে আসতে সময় লাগবে ৪-৫ দিন। তাই তাঁর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিসিবিকে। এশিয়া কাপের দল ঘোষণার জন্য তত দিন অপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলেছেন। বিসিবি কড়া সিদ্ধান্তে যাবেন এবার এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে ১৪ আগস্ট
সাকিবের দেশে ফেরার কথা। বিসিবিকে যদি সাকিব বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেও বেটউইনার ছাড়ার সিদ্ধান্ত না জানান, তবে হয়তো তাঁকে ছাড়াই এশিয়া কাপের দল ঘোষণা হবে ।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ফোনে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি আগেই বলেছি, এটা মেনে নেব না। ব্যক্তিগতভাবে এ ব্যাপারে আমার জিরো টলারেন্স অবস্থান। এখন অন্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’আবার অন্যদিকে বোর্ড পরিচালক বলেছেন একই কথা, ‘সাকিব বলেই সিদ্ধান্তটা অনেক বড়। কিন্তু দেশের আইনের কথা, ক্রিকেট বোর্ডের ভাবমূর্তির কথাও আমাদের ভাবতে হবে। এসবের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সাকিব যদি ওর সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তাহলে আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্য যারা আছে, তাদের নিয়েই এগোতে হবে।’ সাকিবকে ছাড়াই হয়তো এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করা হতে পারে।