শত অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০৫ রানের বিশাল জয় লাভ করে। যেখানে কি না ৩০০রানের উপরে করেও জয় লাভ করতে পারে নি। তা ২৫০ রান করেই সহজ কয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এর আগের দুই ম্যাচেও টস হারে বাংলাদেশ। টসটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়ে ছিল এই সিরিজে। পরে যে ব্যাটিং করে তার হাতেই থাকে খেলার মোড়। তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিং এ নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-এনামুল হক বিজয়। তবে এনামুল আর আফিফ ছাড়া কেও ভরসা হতে পারেনি।
বাংলাদেশের টপ ওর্ডার -মিডলওয়ার্ডারের সকলেই ব্যর্থ ছিল তৃতীয় ম্যাচে। তবে কাজের কাজ করেছেন বিজয় আর আফিফ ।বিজয় করেছেন ৭৬ ও আফিফ ৮৫ রানে অপরাজিত ছিল।তবে গল্পটা ছিল ভিন্ন বিজয় আউট হবার পর যখন একে একে সব ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের পথ বেচে নিয়েছিলেন। তখন একাই দাড়িয়ে থাকেন আফিফও রিয়াদ । অসাধারণ ইনিংস খেলেন আফিফ। তবে আফিফ টিকে থাকেন শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত। আফিফ করেন ৮১ বলে ৮৫রানের নটআউট এক জাদুকরী ইনিংস। যা দলকে সম্মানজনক ২৫৬রানের পুঁজি এনে দেয়।
অন্যদিকে বোলাররা জাদুর মত বোলিং করেছেন। মনে হয়েছে পুরানো রুপে বাঘ জাত চিনিয়েছে। প্রথমবারের মত ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েই দারুণ বল করেছেন পেসার ইবাদত হোসেন। তার দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই বলে নিলেন দুই উইকেট। বাংলাদেশকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করে ইবাদত বুঝিয়ে দিয়েছেন তাকে দলে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।
বাংলাদেশের দলীয় রান ছিল যখন ৪০, পতন হয়নি কোনো উইকেটের। তখনই আট রানেই তিন তিনটি উইকেটের পতন ঘটে । ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারানো দলটার ১০ ওভারে ৩ উইকেট। সেখান থেকে বিজয় খেলেছেন একাই নিজের চেনা ছন্দেই। ২৭ বলে ফিফটি করার পথে হাঁকিয়েছেন তিন ছয়, এক চার। তারপরে রিয়াদ সেট হয়েও দাড়াতে পারেনি।তবে আফিফ ছিল যেন এক লড়াকু বীর। একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত আফিফ। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ নিয়েছেন ৪টি উইকেট, ইবাদত নিয়েছেন ২টি, তাইজুল নিয়েছেন ২টি হাসান ও মিরাজ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। বাংলাদেশের বোলিং ফিগার ছিল চমৎকার দেখার মত। ৪০০তম ম্যাচের স্বাদ ও জয় তুলে নিল বাংলাদেশ দল।