আরব আমিরাত বনাম বাংলাদেশ | বাংলাদেশ বনাম আরব আমিরাত | বাংলাদেশ একাদশ | লিটন দাস | নুরুল হাসান সোহান | ইয়াসির আলী | নাজমুল হোসেন শান্ত | বিসিবি | টি-টোয়েন্টি ম্যাচ | আফিফ হোসেন ধ্রুব
আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
এদিন শুরুতে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ নিজেদের শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দলীয় ১১ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনিংয়ে নামা সাব্বির রহমান। ৩ বলে কোনো রান করতে পারেননি সাব্বির।
এরপর দলীয় ৪৭ রানে একে একে লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইয়াসির আলীর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একদিকে যখন বাংলাদেশ একের পর এক উইকেট হারিয়ে যাচ্ছিলো তখন অন্যদিকে বেশ স্বাভাবিক ব্যাটিং করে গিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলীয় ৭৭ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের উইকেটের মাধ্যমে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন আফিফ। অন্যপ্রান্তে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
এদিন সোহান ও আফিফ মিলে গড়েন ৫৪ বলে অপরাজিত ৮১ রানের জুটি। ব্যাট হাতে মাত্র ৫৫ বলে ৩ ছক্কা ৫ চারে ৭৭ রানের দূর্দান্ত এক অপরাজিত ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। অন্যদিকে তাকে সঙ্গ দেওয়া অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান খেলেছেন অপরাজিত ২৫ বলে ২ চার ২ ছয়ে ৩৫ রানের ইনিংস। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে ১৫৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
জবাবে এই রান তাড়া করতে নেমে নিজেদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দূর্দান্ত করে আরব আমিরাত। তবে দলীয় ২৭ রানে দূর্ভাগ্যবশত রান আউটের শিকার হন ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম।
এরপর আরিয়ান লাকড়া ও চিরাগ সুরি বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ হলেও ফলীয় ৬৬ রানে চিরাগ সুরি ও দলীয় ৭৭ রানে আরিয়ান লাকড়ার উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ দলে স্বস্তি ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আরব আমিরাত। তবে শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকটি মিস ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের মহড়ায় শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশের জয় তুলে নেওয়া।
কিন্তু শেষ ওভারে এসে পরপর দুই উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। ফলে ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় আরব আমিরাত। ফলে বাংলাদেশ পায় ৭ রানের কষ্টার্জিত জয়।
বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ও মিরাজ ৩ টি করে উইকেট শিকার করেছেন অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২ উইকেটের দেখা।