প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে অচল পুরো বিশ্ব। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২৪ হাজার ১১৭ জন। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছে মোট ৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৭ জন।
এদিকে চীন এবং ইতালি ছাড়িয়ে এবার করোনার আঘাতে শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা হলো ৮৫ হাজার ৬১২ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১ হাজার ৩০১ জন।
এমন অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভেন্টিলেটর দেওয়া হত, তবে আগামীকাল থেকে সে নিয়ম বদলে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে এর পরিবর্তন ঘটবে। বলা হয়েছে, বয়স্ক যারা তাদেরকে ভেন্টিলেশনে রাখার চাইতে কম বয়সীদের প্রেফার করছেন চিকিৎসকরা।
আগে কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তিকে তাদের পরিবারের অনুরোধে ভেন্টিলেটর দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের এই ভয়াবহতা দেখে চিকিৎসকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিকিৎসকদের চয়েজ কম বয়সীরা। তাদের বাঁচিয়ে রাখতেই চিকিৎসকদের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলার বিষয়ে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। বয়স্কদের বাসায় আইসোলেটেড রাখা হবে। বয়স্কদের হাসপাতালে রেখে মৃত্যু ঘটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না।
নিউইয়র্কের বোর্ড অব ইলেকশন মেম্বার মাজেদা আক্তার উদ্দিনের কাছ থেকে জানা যায়, আজ (২৭ মার্চ) ভোরে মেয়র বিল ডে ব্লাসিও এলমার্সট হসপিটাল পরিদর্শনে গিয়েছেন। মেয়রকে দেখে কর্মরত ডাক্তাররা কাঁদতে লাগলেন। তারা মেয়রকে বলছে ইকুপমেন্টের প্রচন্ড ঘাটতি।
এ অবস্থায় তারা কীভাবে মানুষের জীবন বাঁচাবেন? পাশের একটি রুমে মেয়র দেখলেন হাসপাতালের নার্সরা ফ্লোরে জমা হয়ে কাঁদছে আর প্রার্থনা করছে সৃষ্টিকর্তার কাছে। প্রত্যেকটি হসপিটালের কানায় কানায় ভরে আছে করোনা আক্রান্ত রোগীতে। নতুন আক্রান্ত রোগীদের রাখার জায়গা নেই।