ইতিহাস গড়া জয় দিয়েই বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। বাংলাদেশ দলকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়৷ হারার আগে হারতে শিখার মানুষিকতাটাকে বদলে দিয়েছেন। তার হাত ধরেই এসেছে বাংলার ক্রিকেটে এক অদম্য সাফল্য। তিনিই বাংলাদেশের ক্রিকেটের রূপকার, কারিগর মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিদায় বার্তাটা দিয়েছেন গত (৫ মার্চ) বৃহস্পতিবার অনুশীলনের ঠিক পরেই। হুট করেই সকলকে থমকে দিয়ে চোখ ভরা জল নিয়ে বিদায়ের বাণী শুনিয়ে দিলেন ম্যাশ।
বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি নিজেও বলেছেন সিদ্ধান্তটা হুট করেই নেওয়া। সকালেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। যেমনটা নিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকেও হুট করেই বিদায় নিয়েছিলেন মাশরাফি। কেনো এমন হুট করেই এমন সিদ্ধান্ত? এই সিদ্ধান্তটা কি মাশরাফি স্ব ইচ্ছায় নিয়েছেন নাকি কারো চাপে? এমন প্রশ্ন সবার মনে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্ন মাঠের বাইরের রাজনীতি নিয়ে মাশরাফির মতামত কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেছেন, মাইকটা সরিয়ে দিন একসাথে থলি খুলে বসা যাবে। এই কথার ইঙ্গিত কোন দিকে যায়। হাজারো রহস্য মাশরাফির অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে। চাপে পড়েই মাশরাফির এমন সিদ্ধান্ত তা মাশরাফির কথায়ই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এছাড়াও মাশরাফি আরো বলেছেন, বোর্ড চাইছে ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক এখনই নির্বাচণ করবে। সেই অধিনায়ককে দলের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এতো আগে অধিনায়ক নির্বাচণের সিদ্ধান্ত। তবে এমন যাতে না হয় বিশ্বকাপের আগ মুহুর্তে বোর্ড বলল তাকে দিয়ে হবে না নতুন অধিনায়ক প্রয়োজন। যেটা বাংলাদেশে অহরোহ হয়ে থাকে৷
মাশরাফি কিছু খুলে না বললেও এসব কথায় এটা অন্তত স্পষ্ট যে মাশরাফির অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত যে তার নয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ষড়যন্ত্র যে লুকিয়ে আছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপের পর থেকেই আর কারও মুখে না থাকলেও পাপনের মুখে মুখে ছিলো মাশরাফি যদি বিদায় নিতে চায় এই কথাটি। জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলাকালেও তিনি বলেছিলেন এখনি চাচ্ছি যে নতুন অধিনায়ক নির্বাচণ করতে। এর ঠিক একদিন পরেই সমালোচনার তোপের মুখে পড়ে সুর পাল্টে দেন পাপন। তিনি নাকি এমন কোনো কথা বলেননি এমনটায় জানান।
অবশেষে ষড়যন্ত্রের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে বিদায় নিলেন সর্বকালের সেরা অধিনায়ক।