নেইমার আর এমবাপের মাঝে সাপে-নেউলের মত হয়েছে হাতাহাতি।একজন আরেকজনের সাথে খেলতে নারাজ। কদিন আগে যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তেন তারাই আজকে সাপে-নেউলের মত এক দফা হাতাহাতিও করেছেন।
আসলে ঘটনাটি ঘটে মপলিয়েরের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ হওয়ার পরে।পিএসজি ৫-২ এ বড় জয় পেলেও পেনাল্টিকে কেন্দ্র করে ড্রেসিংরুমে গিয়ে “হাতাহাতি” বাঁধিয়েছেন নেইমার-এমবাপে।
এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন নেইমার। মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করেন নেইমার। পেনাল্টি স্পেশালিস্ট বলা হয় নেইমারকে। পিএসজি একটি পেনাল্টি পেয়েছিল কিন্তু নেইমার – মেসি মাঠে থাকা সও্বে ও পেনাল্টি শটটি নেন এমবাপে। পেনাল্টি শটটি নিয়েও মিস করেন।তবে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি পেনাল্টি পায় এবার আর এমবাপে দিতে চাইলেও পেনাল্টি নিতে দেননি নেইমার। নিজেই পেনাল্টি নেন এবং গোল করেন।ফলে একধরনের হিংসতা সৃষ্টি হয় দুজনের মাঝে।
তারপরেই এমবাপের নাটক শুরু হয় খেলার মাঝেই। ম্যাচে তাকে অনেক সময়ই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বল সামনে পেয়েও দৌড়চ্ছিলেন না ফরাসি এই তারকা। অনেক গোল দিতে পারতেন সেই ম্যাচে কিন্তু আসতে খেলা দাড়িয়ে থাকায় সুযোগ হারিয়েছে। খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে নেইমার -এমবাপ্পে
হাতাহাতি লেগে যায় এক পর্যায়ে। পরে সতীর্থরা এসে তাদের আলাদা করেন। দুজন চিৎকার করে একে অপরকে গালাগাল করছিলেন এবং মাথায় মাথায় আঘাত করেন এমনটাই দেখতে পান সতীর্থরা।
ড্রেসিংরুমের সেই লড়াই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাদের।
হাতাহাতি করে দুজন চিৎকার করতে থাকেন এবং আশেপাশে থাকা কিছু জিনিস ছুড়েও ফেলেন। এমবাপে কে নিয়ে সমালোচনা করা এক ফ্যানের পোস্টে লাইক দেন নেইমার। বিষয়টি আরো বড় আকার ধারন করলে সেখান থেকেই। এমবাপেকে কি ভবিষ্যতে পেনাল্টি দেওয়া উচিত হবে কিনা এ নিয়ে দুটি পোস্ট করা হয়। কোচ ক্রিস্টোফার গাল্টিয়েরও সে বিষয়ে জেনে স্বীকার করেছেন।পিএসজি শিবিরে কতটা অশান্ত নেমেছে বোঝাই যাচ্ছে।তবে পিএসজি কোচ তাড়াতাড়ি সমাধানে আসতে বলেছেন তাদেরকে। এমনটা না হলে তাদের সাথে বসতে প্রস্তুত কোচ ক্রিস্টোফার গাল্টিয়র।