ফ্রান্সের টিম বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতার মত যোগ্য টিম। তাদের আছে বিশ্বমানের স্টাইকার, মিডফিল্ডার ও ডিফেন্ডার। বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পের মত বিশ্বমানের খেলেয়াড় আছে টিমটায়।১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর ২০০০ সালের ইউরো জেতে ফ্রান্স।সেই প্রাচীনকাল থেকেই টিমটিতে ধারাবাহিকতা আছে কাপ জিতার। টান টান কিছু উওেজনার মুহুর্ত তৈরি করা খেলোয়াড় আছে ফ্রান্সের দলে।
মার্সেল দেসাইয়ের মনে ১৯৯৮ সালের সেই ফাইনালের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বল করে । ম্যাচের ৬৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল মাঠের বাইরে। এরপরও জিতেছিল ফ্রান্স ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। সেবার শিরোপা জিতেছিল মার্সেল দেসাইয়ের দল ফ্রান্স। তারপর ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী হয় ফ্রান্স।এর আগে আর কোনো বিশ্বকাপে জয় করে কাপ আনতে পারেনি ঘরে। তাই এবার দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এমবাপে, বেনজাম ও পগবাদের নিয়ে আশার আলো দেখছেন দেসাই।
মার্সেল দেসাইয়কে এবারের বিশ্বকাপ আসর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে। তিনি বলেন, ২০০২ পরে ২০১৮ পর্যন্ত কোনো কাপ না পাওয়া একই দুর্ভাগ্য বরণ করে নিতে হবে কিলিয়ান এমবাপ্পে-পগবাদের ? এ প্রশ্ন শুনে দেসাই সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠলেন, ‘না।’ তিনি বলেন ‘২০০২ সালে দলের ৭০ শতাংশ খেলোয়াড়েরই বয়স ছিল ৩০-এর ওপরে। আমরা জানতাম, আমাদের কী হতে চলেছে। এই দলের এরা এখনো বুঝেই উঠতে পারেনি ২০১৮ সালে তারা কত বড় কাজ করে ফেলেছে।‘তারা যে সাফল্য পেয়েছে, সেটা বোঝার মতো বোধই নেই তাদের। তারা তরুণ, তাদের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে। কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাই ভাবুন। সে বুঝতে পারছে না। সে আরও কিছুর প্রত্যাশা করছে। আমার মনে হয় না, আমাদের মতো তারাও একই চাপে থাকবে।’
২০২২ বিশ্বকাপে ফ্রান্স কী করবে সেই প্রশ্নের জবাবে দেসাই উত্তরে বলেছেন, তার মানেটা এ রকম—কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ধারেকাছেও যেতে পারবে না কোনো দল! তাঁর কথা, ‘এমবাপ্পে ফ্রান্সের জন্য অসাধারণ এক অস্ত্র। এখন করিম বেনজেমাও আছে। আমার তো মনে হয়, ফ্রান্স ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, হল্যান্ড (নেদারল্যান্ডস), বেলজিয়াম—সবাইকে উড়িয়ে দেবে। আমার বিশ্বাস, ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতবে।’ শুধু ফেভারিট নয় ফ্রান্স কাপও নিবে এই দল।