কোনো খেলোয়াড় লাল কার্ড পেলে বিশ্বকাপের ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকতে হবে এমনটাই হতে যাচ্ছে ব্রাজিল -আর্জেন্টিনার ম্যাচে। তাই তো এই ম্যাচ নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় শঙ্কা। কিন্ত ফিফা বলেছে, ২২ সেপ্টেম্বরে এর মধ্যে বাছাইপর্বে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্যাচটা ব্রাজিলের মাটিতে হতে হবে। তবে ম্যাচটা হবে কি না, হলেও কোথায় হবে, সেসব নিয়ে এখনো সংশয় আছে।যা নিয়ে ব্রাজিলের কোচ তিতে চেয়েছেন ম্যাচটা হলেও হোক ইউরোপের কোনো মাঠে।সেই ম্যাচ না খেলেই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেরা দুই দল হিসেবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে অনেক আগেই।
বড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে এই ম্যাচটাকে ঘিরে। একটি হলো
২০১৯ সাল থেকে কার্যকর ফিফার শৃঙ্খলাবিধির ধারা ৬৫-কে উদ্ধৃত করে টিওয়াইসি যে আইন লিখেছে। টুর্নামেন্টের বাইরে বা ভিতরে কোনো ম্যাচে কেউ লাল কার্ড পেলে সেই টুর্নামেন্টে যদি নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কার্যকর না হয়। তবে সেক্ষেত্রে জাতীয় দলের পরের আনুষ্ঠানিক ম্যাচে খেলতে দেওয়া হবে না তাকে। ১৭ ম্যাচে দুই দল অপরাজিত থাকা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ টি ৫ মিনিট হয় পরে সাও পাওলোর স্বাস্থ্যবিধি তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান আনভিসার কর্মকর্তারা মাঠে ঢুকে তা বন্ধ করে দেয়।
কিছুদিন এর মধ্যে ইউরোপের ক্লাব মৌসুম শুরু হয়ে যাবে বলে এমন ‘অপ্রয়োজনীয়’ একটা ম্যাচ খেলার জন্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ইউরোপ থেকে ব্রাজিলে লম্বা বিমানভ্রমণ করতে হবে ।তাই তো ব্রাজিলের কোচ তিতে চেয়েছেন ম্যাচটা হলেও হোক ইউরোপের কোনো মাঠে। এই ম্যাচকে ঘিরে আরেকটা শঙ্কার কথা জানাচ্ছে আর্জেন্টাইন ওয়েবসাইট টিওয়াইসি স্পোর্টস। এই ম্যাচে নাকি কোনো খেলোয়াড় যদি লাল কার্ড পায় তবে সেটির জন্য ভুগতে হবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাকি সব ম্যাচ শেষ। এমন অবস্থায় ব্রাজিল – আর্জেন্টিনার ম্যাচটা খেলার আর কোনো প্রয়োজন নেই বললেই চলে। সাও পাওলোতে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ঠিকই গড়িয়েছিল মাঠে। তবে তখন মহামারী করোনাভাইরাস এর প্রভাব বেশি থাকায় ইংল্যান্ডের ক্লাবে খেলা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় ব্রাজিলের মাঠে ঢুকার আগে করোনাবিধি তথ্য লুকিয়েছে । তাই তে ওই চার খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন স্বাস্থ্যবিধি তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান আনভিসার কর্মকর্তারা।পরে আর মাঠে গড়ায়নি ম্যাচটি।