চার বছর পর বিশ্বকাপ এলেই ফ্রেভারিটের তালিকায় থাকে ব্রাজিল!কাতার বিশ্বকাপে নেইমারের ঝলক দেখবে পুরো বিশ্ব। এবার ঠিকই বিশ্বকাপ এনে দেবেন ব্রাজিলকে এমনটাই বলছেন জৌতিষীরা। তবে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ৫টি কারনে জেতার সম্ভাবনা আছে।ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানোই নেইমারের মূল লক্ষ্য।তাইতো পাচঁটি কারনের মধ্যে নেইমার অন্যতম। পেলে যেমন ১৯৭০সালে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মূল খেলোয়াড় ছিলেন, এবার নেইমার ও মূল খেলোয়াড়।
১৯৭০ বিশ্বকাপের ব্রাজিল দলের সঙ্গে ২০২২ সালের একটা মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। ১৯৭০ছিল পেলের শেষ বিশ্বকাপ।
কাতার বিশ্বকাপের পরই জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে পারেন নেইমার এমনটাই জানিয়েছেন।তবে ব্রাজিলকে কাপ এনে দিতে লুকাস পাকেতা, ভিনিসিয়ুস, রাফিনিয়া, কাসেমিরোরা নেইমারের সাথে আছেন কাতার বিশ্বকাপে।
যেমনটা ছিল ১৯৭০ বিশ্বকাপে টোস্টাও, জর্জিনিও, গারসন, রিভেলিনো, ক্লদওয়ালদো ও কার্লোস আলবার্তোর মতো তারকারা পেলের পাশে।
বিশ্বকাপে ১০৯ ম্যাচে ৭৩ জয় নিয়ে সবার ওপরে ব্রাজিল। যে দলের অভিজ্ঞতা এবং পাচঁবার কাপ নেওয়ার ঐতিহ্য বলে দেয় কাতার বিশ্বকাপে চমক দেখাবে এই দল। কারন এই দলে আছে কুতিনিও, পাকেতা, রাফিনিয়া, আন্তনিওরা, কাসেমিরোর মত ম্যাচ ছিনিয়ে আনা খেলোয়াড় । কাতারে কাসেমিরো ব্রাজিলের মাঝমাঠে বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। একজন খেলোয়াড় দিয়ে কখনো বিশ্বকাপ জেতা যায় না।তাই তো শুধু নেইমারে ভরসা নয় ভরসা রাখতে হবে কুতিনিও, পাকেতা, রাফিনিয়া, কাসেমিরোর মত খেলোয়াড়দের উপর।তবেই বাজিমাতঁ করে দেখাতে পারবে তারা।নেইমার আর লুকাস পাকেতার ডিফেন্স ভাঙা বোঝা -পড়া খুবই চমৎকার। নেইমার একটু পেছনে খেললে তাঁর সঙ্গে লুকাস পাকেতার বোঝাপড়া, ওয়ান-টু পাসে ডিফেন্স ভাঙা শত দর্শক দেখেছে মাঠে।
এবার দলে ভিনিসিয়ুস, রাফিনহা ও রদ্রিগোর মতো উইঙ্গাররা থাকায় দুই আক্রমণে এগিয়ে থাকবে ব্রাজিল। আর মাঝে নেইমার-পাকেতা আছেনই দুই প্রান্ত দিয়ে আটকে ধরতে। তবে পাল্টে গেছে ব্রাজিলের ফুটবল। গোল করা ও করানোর দায়িত্বটা এখন আর শুধু নেইমারের নয়। সবাই নিজের সবটুকু দিয়ে গোল করার চেষ্টায় থাকবে। শুধু নেইমারে ভরসা নয়।কারন ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে শুধু নেইমারের ওপর ভরসা রাখার ফল পেয়েছিল ব্রাজিল।
পরে চোটের কারণে ম্যাচ না খেলায় হজম করতে হয়েছিল সাত গোল। তাই তো কোচ তিতে বিষয়টি মাথায় রেখে কয়েক মাস ধরে কাজ করেছেন আক্রমণ নিয়ে। আক্রমণে কখনো জেসুস, বা নেইমারকে দেখা যায়। ভিনিসিয়ুসকে দিয়েছেন বক্সে ঢোকার লাইসেন্স। একের মধ্যে তিন মিডফিল্ডার বানিয়ে ফেলেছেন পাকেতাকে।ডান উইং দিয়ে জায়গা বাড়াচ্ছেন রাফিনিয়া-আন্তোনিওকে নিয়ে। আক্রমণ গড়া, রুখে দেওয়া এবং পাসে পাসে খেলানোর কৌশলকে আরো মজবুত করেছেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। ব্রাজিলের আক্রমণভাগকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করেছেন এই কোচ।