Going to New Zealand, Bangladesh was defeated again and again. Not only that, the dream for any team in the subcontinent is to go to New Zealand and win.
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বার বার পরাস্ত হয়েছিলো বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, উপমহাদেশের যেকোনো দলের জন্য স্বপ্ন নিউজিল্যান্ডে গিয়ে জয় তুলে নেওয়া। আর এই স্বপ্নকেই বাস্তবায়ন করে দেখালো বাংলাদেশ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে ৮ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা।
চতুর্থ দিনশেষে কিউইদের লিড ছিল ১৭ রান। ক্রিজে ছিলেন রস টেইলর ও রাচিন রবিন্দ্র। চতুর্থ দিনে দাপট দেখানো টেইলরকে পঞ্চম দিনে সুবিধা করতে দেননি চতুর্থ দিনে ইতিমধ্যে চার উইকেট শিকার করা এবাদত হোসেন। রস টেইলরকে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন এবাদত। এছাড়াও দীর্ঘ ৯ বছর পর কোনো বাংলাদেশি পেসার এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন। এরপর তাসকিনের বোলিং তান্ডবে ৩৯ রানের লিড নিয়েই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
ইঞ্জুরির কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ফলে তার জায়গায় ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৪০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার নাজমুল ইসলাম শান্ত ও সাদমান ইসলামের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিম ও মমিনুল হকের ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে ইতিহাস গড়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
অধিনায়ক মমিনুল হকের অপরাজিত ১৩ অন্যদিকে মুশফিকের অপরাজিত ৭ রানে ১৬.৫ ওভারে নির্ধারিত ৪০ রানের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেও এবারই প্রথম কিউইদের হারিয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের খেলা ৬১ টি টেস্টের মধ্যে বিদেশের মাটিতে এটিই প্রথম জয়। র্যাংকিংয়ে শীর্ষ পাঁচ নম্বরে অবস্থান করা যেকোনো দলের সঙ্গে বিদেশের মাটিতেও এই প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ঘরের মাঠে কিউইদের জয়ের রথও থামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের টানা ১৭ জয়ের রেকর্ড ভেঙে প্রথম দল হিসেবে জয়ের কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ।