সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের পরাজয় বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে হেরে আইসিসি ওডিআই সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তবে বাংলাদেশের এমন হারের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। তিন বিশেষ কারণে আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ ও সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট আদায় করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।
এদিন শুরুতে টস জিতস ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ খেলেছে ধীর গতির ইনিংস। ব্যাট হাতে বরাবরের মতো লিটন দাস ব্যাট হাতে দূর্দান্ত খেললেও এদিন তামিম ইকবাল এবং দলের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাট হাতে এদিন মাত্র ১১ রান করে আউট হয়েছেন তামিম। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফজল হক ফারুকীর হাতে ধরা দিয়েছেন এই ওপেনার। এছাড়াও মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীও ছিলেন ব্যর্থ। ১৫ বলে ৭ রান এবং ৪ বলে ১ রান করে দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিক ও ইয়াসির আলী। এছাড়াও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫৩ বলের বিনিময়ে মাত্র করেছেন ২৯ রান। পুরো সিরিজে মাত্র ১ টি বাউন্ডারির দেখা পেয়েছেন রিয়াদ। ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার দিনে মাত্র ১৯২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
১৯২ রানের মামুলি লক্ষ্য রক্ষা করার লক্ষ্যে এদিন বল হাতে দূর্দান্ত ছিলেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু ভাগ্য আর সঙ্গ দিল কই!
ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ফিল্ডিংয়েও একাধিক ভুল করে বসেছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। বলা চলে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর ভুলে এমন হারের মুখ দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এদিন আফগানিস্তানের হয়ে ব্যাট হাতে উড়ন্ত ছন্দে ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ১১০ বলে ১০৬ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। তবে সেঞ্চুরির দেখা নাও পেতে পারতেন এই আফগান এই ওপেনার। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করা গুরবাজকে সাজঘরে ফেরানোর দারুণ এক ফাঁদ পেতেছিলেন শরিফুল ইসলাম। ২২.৪ ওভারের সময় শরিফুলের বলে মুশফিকের দিকে ক্যাচ তুলে দেন ৬১ রান করা গুরবাজ। তবে সেই ক্যাচ মিস করে দেন মুশফিকুর রহিম।
এরপর ২৪তম ওভারে আবারো বল করতে আসেন শরিফুল। ওভারের চতুর্থ বলে লংঅনে আবারো ক্যাচ তুলেন গুরবাজ তবে এবার সেই ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তখন গুরবাজের রান ছিল ৭০ বলে ৬২। দুই সহজ ক্যাচ মিস এবং ভুলে ভরা ফিল্ডিংয়ের মাশুল গুনতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।