এশিয়া কাপের জন্য অধিনায়ক চূড়ান্ত করতে পারেনি বিসিবি এখনও। সাকিবের একটি চুক্তির কারণে বদলাতে হয় বিসির সব সিদ্ধান্ত। তাই তো দল গঠন নিয়েও আছে বড় ঝুঁকি । সবশেষ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার দিন ছিল সোমবার। কিন্তু এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এসিসির কাছ থেকে বাংলাদেশ সময় বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নেয়। তারপরেও দল ঘোষণা করতে পারেননি বিসিবি। সাকিবের বেটিং প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির কান্ড তার পাশাপাশি এশিয়া কাপের নেতৃত্ব নিয়ে ভাবছে বিসিবি।তাই সময় লাগবে আরো দুদিন।
এশিয়া কাপ এবার হবে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে।বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ। তার অফ ফর্ম ও ভুল সিদ্ধান্ত তাকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে এনেছে। তাই তো পাপন জানিয়েছিলেন, অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে আছেন চার ক্রিকেটার। মাহমুদউল্লাহর,সোহান,লিটনদের পাশাপাশি তালিকায় আছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিবের নাম। তবে বিসিবি বলেছেন সাকিবকে ছাড়া খেলা কিভাবে সম্ভব। তাই সাকিব আসুক দেশে তারপর অধিনায়কের নাম ঘোষনা হবে।
তবে সাকিবকে অধিনায়ক দেওয়া হলে কড়া নজরদারিতে রাখা হবে বলেছেন পাপন।গণমাধ্যম কে বিসিবি সাকিবের বিষয় নিয়ে বলেছেন যে, “এবার হয়তো ওকে বেনিফিট অব ডাউট দেব। তবে আপনাকে এটা বলে দিতে পারি, এটাই হবে ওর জন্য শেষ সুযোগ। ওকে অবশ্যই কড়া নজরদারিতে রাখা হবে। ভবিষ্যতে এমন কিছু হলে আমি কারও সঙ্গে আর আলাপ করব না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, আমাদের সিনিয়র প্লেয়ার যারা আছে, তারা ভালোভাবে শেষ করুক। তাই বলে বারবার তাদের সুযোগ দেওয়া হবে না।”
বর্তমানে বাংলাদেশ দলের অনেকেই ইনজুরির কবলে আছেন। তাই সাকিব ছাড়া দেখছেন না অন্য কোনো ভরসা। সাকিব কে ছাড়া তো কোনো উপায়ই নেই।দলের বাকিদের নিয়েও অনেক অভিমত জানিয়েছে বিসিবি। এ নিয়ে বিসিবি পাপন বলেন, ”উপায় নাই। লিটন দাস বা সোহান (নুরুল হাসান) ঠিক থাকলে ওদের কাউকেই হয়তো দিয়ে দিতাম। ওরা দুজনই তো ইনজুরড। আজকের (বৃহস্পতিবার) মিটিংয়েও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোসাদ্দেক, রিয়াদ, বিজয়ের নাম এসেছে। সিনিয়রদের মধ্যে তো ওদের নামই আসে। ইয়াংদের মধ্যে তো কেউ রেডি না। মেহেদী হাসান মিরাজ যদি টি-টোয়েন্টি টিমে থাকত, ওকে হয়তো দেওয়া যেত।”