মেসি সুয়ারেজের জোরা গোলে বেটিসের জালে গোল উৎসব করলো বার্সা। প্রথমার্ধে কোন গোল না পেয়েও দ্বিতীয়ার্ধে ৫-০ গোলের বিশাল জয় পেল কাতালানরা। ম্যাচে অপর একটি গোল করেছে ইভান রাকেটিস।
নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে বার্সাকে রুখে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছিল রিয়েল বেটিস, আর তার ফলসরুপ প্রথমার্ধে কোন গোল হজম করতে হয়নি তাদের।
কিন্তু ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ঘটলো সব নাটক। যত বড় প্রাচীর গড়া হয়না কেন মেসি সুয়ারেজকে নিয়ে তৈরি করা আক্রমণ ভাগকে কি আর থামানো সম্ভব? ” না, তাই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গুনে গুনে ৫ গোল হজম করলো রিয়েল বেটিস।
গোল উৎবের শুরুটা হয় ম্যাচের ৫৯ মিনিটের সময়। আর তা শেষ হয় ৮৯ মিনিটে। ম্যাচের ৫৯ মিনিটের সময় গোল করে দলকে এগিয়ে দেই ইভান রাকেটিস। লুইস সুয়ারেজের বাড়ানো বল থেকে শুধু গোল করেননি ভেঙ্গে দিলেন বেটিসের রক্ষন প্রাচীর।
এরপর ৬৪ মিনিটে দলের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম গোলটি করেন লিওনেল মেসি। সার্জিও ভাস্কেটসের বাড়ানো বল দারুন নৈপূন্যে জালে জড়ান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে নিজের গোল খাতা খুলেন উরুগুয়ান ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ। রাকেটিসের বাড়ানো বল চমৎকার ভাবে জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে দিলেন ৩-০ গোলে।
তিন গোল হজম করে রিয়েল বেটিসের কাছে আর কিছুই ছিলো না। চমক টা ছিলো শুধু মেসি ও সুয়ারেজের জন্য। ম্যাচের ৮০ মিনিটের সময় ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ও দলের এক হালি পূর্ন করেন মেসি।
এর নয় মিনিট পর সুয়ারেজের দ্বিতীয় ও ম্যাচে শেষ গোলটিও ছিল লিওনেল মেসি দৃষ্টিনন্দন ড্রিবলিংয়ের ফসল। প্রতিপক্ষের ৩ জনকে কাটিয়ে মেসি বল বাড়ান সুয়ারেজের কাছে আর সেই বল জলে পাঠান উরুগুয়ান ফরোয়ার্ড।
এই ম্যাচে জোড়া গোলের মাধ্যমে লিগে মেসির গোল সংখ্যা হল ১৯ ও সুয়ারেজের ১৫।
অন্যদিকে ২০ ম্যাচে ১৭ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সা।