ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে সে বিষয়ে আইসিসিকে না জানানোর কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনি ম্যাচ না পাতালেও এ বিষয়ে আইসিসির দূর্নীতি দমন সংস্থা আকসুকে না জানানোর কারণে এ নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব৷
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা ক্রিকেট অঙ্গনে চলছে তুমুল তোলপাড়৷ সাকিবের নিষেধাজ্ঞার দিনই এক বেফাশ মন্তব্য করেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেন, সাকিবের এ শাস্তিতে তিনি খুশি নন, সাকিবের শাস্তি আরো বৃদ্ধি করা উচিত ছিলো। টুইটারে ভনের এমন মন্তব্যের পর তাকে পড়তে হয়েছে ব্যাপক সমালোচনার মুখে৷ বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্ত কিংবা সাকিব ভক্ত সকলেই ক্ষেপেছেন ভনের এমন মন্তব্যে। এর জন্য ব্যাপক গালিগালাজও শুনতে হয়েছে মাইকেল ভনকে। কিন্তু তার পরেও তিনি অনুতপ্ত নন। মাইকেল ভনও এইসব সমালোচনার জবাব দিয়েই চলেছেন৷
গালিগালাজের জবাবে ভন টুইটারে লিখেন, যারা আমাকে গালিগালাজ করছেন তারা জেনে রাখেন দূর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ছাড় নেই আমার। এটা কোন ব্যাপার না আপনি কোন টিমের জন্য খেলছেন। খেলোয়াড়রা এই যুগে জানেন তারা কি করতে পারবেন কি করতে পারবেন না। তারা এটাও জানে তাদের এই ব্যাপারে রিপোর্ট করতে হবে। তারা যদি এটা না করে তাহলে ফল কি হবে তারা এটাও জানে।
ভনের এই টুইটারের জবাবে একজন প্রশ্ন ছূড়ে দেন, সাকিব তো দূর্নীতি করেনি। সাকিব এটা ভুল করেছে, দূর্নীতি নয়। আপনি এর পার্থক্য না বুঝলে আপনি আবার স্কুলে যান।
এর জবাবে ভন সাকিবকে দূর্নীতিবাজ বলে আরো একটি টুইট করেন, আমি নিয়মিত আমার বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে আসি। সকল খেলোয়াড় নিয়ম জানে আজকাল। তাদের যেকোনো প্রস্তাব রিপোর্ট করতে হবে। সে করে নাই, তাই সে একজন দূর্নীতিবাজ, এটাই আসল কথা।
শুধু মাইকেল ভনই নয় ব্রিটিশ মিডিয়াগুলোও সাকিবকে দূর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দিচ্ছে। সাকিবের এই হেয়ালিপনায় করা ভুলকে তারা দূর্নীতি বলে উল্লেখ্য করেছে৷
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভন এবং বাংলাদেশি সমর্থকদের বিরোধ যেনো থামছেই না।