নিজেদের মাঠ তাই চাপটাও একটু বেশি। ম্যাচের প্রথম থেকে অগোছালো রিয়েল মাদ্রিদ। খুজেই পাওয়া যাচ্ছেনা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। অন্যদিকে ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণ শুরু করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পিএসজি। প্রথমার্ধে একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন রোনালদো। গোলরক্ষকে ফাকা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি তিনি।
এরপর ম্যাচের ৩৩ তম মিনিটে পাওয়া সুযোগ নষ্ট করেনি অতিথিরা। নেইমারের অসাধারণ পাস থেকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়ান আন্ড্রিয়ান রাবিয়েট। তাতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর ম্যাচের ৪৩ তম মিনিটে করিম বেনজেমার জোড়ালো শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেই পিএসজির গোলরক্ষক। তার এক মিনিট পর পেনাল্টি পাই রিয়েল মাদ্রিদ। আর সেই পেনাল্টি থেকে তীব্র গতির শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে পিএসজির আক্রমণ আরো বেরে যায়। তবে ৪৯ মিনিটের সময় নেইমারের বাড়ানো বল ভালো পজিশনে পেয়েও জানলে জড়াতে পারেননি ফরাসী তারকা এমবাপ্পে। এরপর আবারো বারিয়েট। কিন্তু এবার রাবিয়েটের নেওয়া শট ডি-বক্সের ভেতরে রিয়েল মাদ্রিদের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামসের হাতে লাগে। তা রেফারির চোখ এরিয়ে যাই। যার ফলে পেনাল্টি বঞ্চিত হয় পিএসজি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রেফারির কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল। তারপরেও দারুণ কিছু সু্যোগ তৈরি করেছিল পিএসজি। কিন্ত গোলমুখ খুলতে পারেনি তারা। উল্টো তিন মিনিটে ২ গোল হজম করতে হয় পিএসজিকে। ম্যাচের ৮৩ আবারো রোনালদোর গোল এবং ৮৬ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ম্যার্সেলোর অসাধারণ গোলে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় রিয়েল মাদ্রিদ।
এরপর আর কোন গোল না হলে ৩-১ ব্যবধাবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিনেদিন জিদানের দল।