বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা প্লাটুন ও চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার বোলারদের উপর তান্ডব চালায় চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটসম্যানরা। চট্রগ্রামের ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ব্যাটিং তান্ডব থামাতে প্রায় ব্যর্থ হয়েছে ঢাকা প্লাটুনের বোলাররা। ৩৬ বলে ৫৭ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন ১৫৮.৮৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা লেন্ডল সিমন্স। চট্রগ্রামের দুই ওপেনার আউটের পর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। ব্যাট হাতে এবার অপ্রতিরোধ্য মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
রিয়াদের সঙ্গ দিচ্ছেন ইমরুল কায়েস। দলীয় ১৬১ রানে ইমরুল কায়েসের আউট হলেও ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২১০.৭১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলেন মাত্র ২৮ বলে ৫৯ রানের একটি দূর্দান্ত ইনিংস। মাহমুদুল্লাহর ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৪ ছক্কা এবং ৫ চারে। দলীয় ১৯১ রানের সময় আউট হন মাহমুদুল্লাহ। তার ব্যাটে ভর করে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
পাহাড় সমান রান তাড়া করতে নেমেই শুরুতে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় ঢাকা প্লাটুন। এরপর জাকের আলি ও মমিনুল হকের জুটি ঢাকার স্কোর নিয়ে যায় ৬০ রানে। দলীয় ৬০ রানে জাকের আলির উইকেট হারায় প্লাটুন। এর কিছুক্ষণ পর লৌরে ইভান্সের উইকেটও হারাতে হয় ঢাকাকে। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটে ঢাকা প্লাটুনের। আসিফ আলির দুই ছক্কার বাউন্ডারি কিছুটা আশা জাগালেও তার উইকেটেরও পতন ঘটে। এদিকে ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মমিনুল হক। ৩৫ বলে ৫২ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলে আউট হন মমিনুল হক। ২ ছক্কা এবং ৩ চারে মমিনুলের ইনিংসটি সাজানো ছিলো।
দলীয় ১২২ রানে আউট হন মমিনুল৷ এর পর পর শহিদ আফ্রিদির উইকেটের পতন ঘটে৷ থিসারা পেরেরার সাথে জুটি বেঁধে ব্যাটিং তান্ডব চালাতে থাকেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৩৮৩.৮৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা মাশরাফি ৬ বলে ২৩ রান করেন। ৩ টি ছক্কা এবং ১ টি চার মেরে আউট হন মাশরাফি। ব্যাট হাতে দলকে জেতানোর সর্বোচ্ছ চেষ্টা চালালেও কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না। দলীয় ২০৫ রানের সময় ২৭ বলে ৪৭ রান করে আউট হন থেসেরা পেরেরা৷ ফলে ১৬ রানের জয় পায় চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।