মারকানায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল এবং পেরু। মারকানায় কুখ্যাত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেটাই ছিলো ব্রাজিলের চাওয়া। আর তাতে সফলও হয়েছে সেলেসাওরা। পেরুকে পেরিয়ে আরো একবার কোপার শিরোপা ঘরে তুলল ব্রাজিল। মারকানায় ৩-১ গোলে পেরুকে হারানোর মাধ্যমে কোপার নবম শিরোপা ঘরে তুলল সেলেসাওরা।
শুরু থেকেই খেলা জমিয়ে দিয়েছিলো ব্রাজিল। প্রথমার্ধের ১৫ তম মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসুসের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে ক্লাব এভারটনের স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। ফলে ১-০ তে এগিয়ে যায় ব্রাজিলে। মারকানা পরিপূর্ণ হলুদের উদযাপনে।
ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া পেরু। প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে দারুণ এক অ্যাটাকিং সাজিয়েছেন ফ্লোরেস এবং কুয়েভা। ব্রাজিলের ডিবক্সে ঢুকে পড়ে এই দুই জন। কুয়েভার ক্রস ঠেকাতে গিয়ে ব্রাজিলিয়াল ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার হাতে লাগে বল। রেফারিও দেরি করলেন না সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দিলেন পেরুকে। পেরুর হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন পাওলো গেরেরো। প্রথমার্ধেই সমতাই ফিরে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে পেরু।
প্রথমার্ধের দেওয়া অতিরিক্ত সময়ে আর্থার মেলোর অ্যাসিস্টে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে নিয়ে যায় গ্যাব্রিয়েল হেসুস। ফলে ২-১ এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া পেরু বেশ কয়েকবার আক্রমণ চালায় ব্রাজিলের জালে। ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা রীতিমতো হিমশীম খাচ্ছিলেন তাদের সামলাতে। ব্রাজিলের দরকার ছিলো আরো একটি গোলের। তবে ম্যাচের ৭০ তম মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসুস পেলেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। অর্থ্যাৎ লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। হেসুসের লাল কার্ড পাওয়া ব্রাজিলের দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দেয়। ম্যাচের ৮৭ তম মিনিটে রিচার্লিসনকে পেরুর ডিবক্সে ফাউল করে বসে পেরুর ডিফেন্ডার জামব্রানো। ভিএআর এর সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করলেন না ক্লাব এভারটনের স্ট্রাইকার রিচার্লিসন৷
রিচার্লিসনের গোলের মাধ্যমে ৩-১ এ এগিয়ে ম্যাচ শেষ করে ব্রাজিল। মারাকানা তখন উল্লাসের জোয়ারে ভাসছে। ঘরের মাঠেই শিরোপা জিতে ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছে তিতের দল। কোপার নবম শিরোপা জিতার মাধ্যমে আরো একবার দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখলো ব্রাজিল।