বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই ব্যাট হাতে দেখা যায়নি চিরচেনা সেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে৷ যেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের জন্য ছিনিয়ে এনেছিলেন একাধিক জয় সেই মাহমুদুল্লাহ কেনো বিশ্বকাপের মতো এতো বড় মঞ্চে এমন উদাসীন?
বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহ ব্যাটিংয়ে তেমন কোনো আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তার এই ব্যর্থতা জন্ম দিয়েছিলো সমালোচনার। ভক্তদের একটাই প্রশ্ন কেনো এমন উদাসীন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ? তবে এবার বেরিয়ে এলো তলের খবর! কেনো ব্যাট হাতে নিজের নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ এই প্রশ্নের খোলাশা মিলল অবশেষে।
ক্রিকবাজের এক তথ্য সূত্রে জানা যায়,বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহর ৪১ বলে ২৮ রানের উদাসীন ইনিংস ড্রেসিং রুমে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছিলো। কার্ডিফে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর মাশরাফি বিন মুর্তজা জেদ করেই পরের ম্যাচে মাহমুদুল্লাহকে খেলিয়েছেন। মাশরাফির এমন সিদ্ধান্তে মত ছিলো না সাকিব আল হাসানের৷ যার কারণে মাশরাফি সঙ্গে মতবিরোধের সৃষ্টি হয় সাকিবের। এই কারণে মাশরাফিরা বিশ্বকাপের বেশীরভাগ সময় দল পরিকল্পনা থেকে দূরে রাখা হয়েছিলো সাকিব আল হাসানকে৷
সাকিবের মতে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচের সময় মাহমুদুল্লাহ একদমই চেষ্টা করেননি কিংবা আগ্রহ দেখাননি দলকে জেতাতে। মাহমুদুল্লাহ যখন ক্রিজে তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ২০ ওভারে ১৯০ রান। মাহমুদুল্লাহ যখন ব্যাটিংয়ে তখন ড্রেসিং রুমের সবাই আশা রেখেছিলো রানটা তাড়া করা খুব সম্ভব। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই সে দিকে ইঙ্গিত করেনি। আর মাহমুদুল্লাহর এমন আচরন খুব একটা ভালোভাবে নেননি সাকিব আল হাসান।
এইখানেই শেষ নয়, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফিফটি করার পর মাহমুদুল্লাহ যখন আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরেছিলেন তখন তার আচরণ ছিলো অবাক করার মতো। যখন ফিফটি করে তিনি ফিরে এসেছিলেন তখন তার প্রচেষ্টাকে হাততালি দিয়ে স্বীকৃতি বা অভিবাদন না দেওয়ায় সতীর্থদের উপর অসন্তষ্ট হয়ে এক প্রকার বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন৷ তার এমন আচরণে প্রায় সকলেই অবাক হয়েছে।
আরো জানা গিয়েছে, বিশ্বকাপে ৬ নম্বরে ব্যাটিং করাটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। এর জন্যই তাকে অনেক ম্যাচে উদাসীন এবং গা ছাড়া ভাব থাকতে দেখা গিয়েছে।