রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে আজ আইপিএল ২০১৯ এর ফাইনালে মুখোমুখি হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
ব্যাটিংয়ে নেমে রোহিত শর্মা ও ডি কক শুরুটা ভালো করলেও দলীয় ৪৫ রানের সময় ডি কক আউট হলে চাপে পড়ে মুম্বাই। এর পরেই দলীয় ৪৫ রানের সময় আউট হয়ে যান মুম্বাই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। বিপদটা যেনো বেড়ে যায় মুম্বাইয়ের জন্য দুই ওপেনারকে হারিয়ে। এর পরে দূর্দান্ত বোলিং দিয়ে মুম্বাইকে চাপে রাখে চেন্নাই সুপার কিংস। মুম্বাইয়ের ৮২ রানের মাথায় আউট হন সুরে কুমার যাদব। ইমরান তাহির তুলে নেন তার উইকেটটি। এরপরই আউট হয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া। ১০০ করার আগেই মুম্বাই খোয়াই ৪ টি উইকেট। কাইরন পোলার্ড নেমে হাল ধরেন মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ে। ২৫ বলে খেলেন ৪১ রানের ঝড় একটি ইনিংস। তার রানের উপর ভর করেই ১৪৯ রান করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৮ উইকেট হারিয়ে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিলো ডু প্লেসিস ও ওয়াটসনকে নিয়ে। দূর্দান্তভাবে শুরু করে চেন্নাই। তবে দলীয় ৩৩ রানের সময় ডু প্লেসিস এর উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে চেন্নাই৷ শেন ওয়াটসন খেলেন তার নিজের ছন্দে তাকে কেউ থামাতে পারেনি। দলীয় ৭০ রানে সুরেশ রাইনার উইকেট হারায় চেন্নাই। এর পরে আম্বাতি রাইডু নেমেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। ১ রান করেই ফিরে যান রাইডু। ওয়াটসন তখনও ক্রিজে৷ তার দরকার শুধু একজন সঙ্গী কিন্তু কেউই যে তার সঙ্গ দিতে পারছিলো না। চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি নেমেও আউট হয়ে গেলেন। ৮ বলে ২ রান করে আউট হয়ে যান ধোনি। ইশান কিশান এর দূর্দান্ত একটি থ্রো করা থেকে রান আউট হন ধোনি। চেন্নাই খোয়ালো ৮২ রানে ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এরপর ডিজে ব্রাভো নেমে ওয়াটসনের সঙ্গ দেন। ওয়াটসন খেলেন ৫৯ বলে ৮০ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস। এর জন্য তিনি ৪ টি ছয় এবং ৮ টি চার মেরেছেন। অন্যদিকে ডিজে ব্রাভো ১৫ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। দলীয় ১৪৬ রানের সময় রান আউট হয়ে যান শেন ওয়াটসন৷ চেন্নাইয়ের জন্য বিপদ বাড়তেই থাকে। শেষ ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার দূর্দান্ত বোলিংয়ে ১ রানের নাটকীয় জয় পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এর মাধ্যমে নিজেদের চতুর্থ শিরোপা তুলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
চেন্নাইয়ের হয়ে চাহার ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ টি উইকেট। ঠাকুর ও ইমরান তাহির তুলে নেন দুইটি করে উইকেট।
অন্যদিকে মুম্বাইয়ের হয়ে জাস্প্রিত বুমরা তুলে নেন দুইটি উইকেট। লাসিথ মালিঙ্গা , ক্রুনাল পান্ডিয়া ও রাহুল চাহার তুলে নেন একটি করে উইকেট।