বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার পর থেকেই চলছে নানা তর্ক – বিতর্ক। একেকজন একেক মত পোষণ করছেন। পেসার তাসকিনকে দলে না রাখায় হতাশ হয়েছেন অনেকেই। তাসকিন নিজেও হতাশ হয়েছেন। দল ঘোষণার দিন কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাসকিন। এদিকে তাসকিনের পরিবর্তে নেওয়া আবু জায়েদ রাহি অনেক খুশি বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়ে তাও আবার বিশ্বকাপের মতো এতো বড় একটি মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়ে!
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাসকিন এবং আবু জায়েদের সমীকরন।
২০১৪ – ২০১৭ পর্যন্ত তাসকিন আহমেদ এর সমীকরন অনুযায়ী ওয়ানডেতে ম্যাচ খেলেছেন সর্বমোট ৩২ টি এবং উইকেট নিয়েছেন ৪৫ টি। ইকোনমি ৫.৯৪ এবং এভারেজ ছিলো ৩১.১। রুবেল হোসেন এর পরে তাসকিন হলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় গতিসম্পন্ন বোলার। তার বলের সর্বোচ্ছ গতি হচ্ছে ১৪৯।তিনিই প্রথম বাংলাদেশি বোলার যিনি। অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্ছ ৫ টি উইকেট নিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে। ২০১৫ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন এই পেসার। বিশ্বকাপে তিনি অসাধারণ বোলিং করেন। বিপিএলের এবারের আসরে সিলেট সিক্সারস এর হয়ে খেলেছেন তাসকিন আহমেদ। সেখানেই তিনি পায়ে চোট পান এবং বেশ কিছু দিনের জন্য মাঠের বাইরে থাকেন।
অন্যদিকে আবু জায়েদ রাহি বলতে গেলে নতুন মুখ বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বিপিএল এর এবারের আসরে চিটাগাং ভাইকিংস এর হয়ে খেলেছেন রাহি। টি-২০ এবং টেস্টে অভিষেক হলেও এখনও ওয়ানডেতে অভিষেক হয়নি রাহির। ২০১৮ সালে টি-২০ তে ইকনোমি ছিলো ৯.৬৩ এবং এভারেজ ছিলো ২৬.৫। ম্যাচ খেলেছেন ৩ টি এবং উইকেট নিয়েছেন ৪ টি।
অভিজ্ঞ পেসার তাসকি এর পরিবর্তে নতুন মুখ রাহিকে বিশ্বকাপ দলে রাখার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ দলের জন্য কতটা যুক্তিযুক্ত তা বুঝা মাত্র সময়ের ব্যাপার।