আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দলের অনেক খেলোয়াড়ই লড়ছেন ইঞ্জুরির সাথে। গতকাল কব্জিতে বল লাগার কারণে ইঞ্জুরিতে পড়েন তামিম ইকবাল। আর আজ নেটে অনুশীলনের সময় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পড়েন ইঞ্জুরিতে।
যার কারণে আগামীকালকের ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বোলিং করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই মাঠে স্পিনারদের বল গ্রিপ করেছে বেশ ভালোই। এজন্য একাদশে স্পিনার বাড়ানোর কথা চিন্তা করা চিন্তা করা হচ্ছে। স্পিনার বাড়ানোর ফলে যে পেস বোলারদের বাদ দেয়া হবে তা নয়।এজন্য দরকার অলরাউন্ডারের৷ মাহমুদুল্লাহ অলরাউন্ডারের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর চোট সে সিদ্ধান্তে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এখন মাহমুদুল্লাহর বোলিংয়ের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে একজনই। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ঝড় ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে শিরোপা জিতানো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এক্ষেত্রে এই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে।
মাশরাফি বিন মুর্তজা এমন চিন্তা ধারার ব্যাপারে আগের দিনই স্পষ্ট করেছেন। উইকেটের হাবভাব দেখে মাশরাফি জানান ওভালে গত ম্যাচে বল গ্রিপ করছিলো। যদি এমনটা হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। যদি বল গ্রিপ করে আমাদের পেসাররাও ম্যাচে থাকবে। সেই সঙ্গে স্পিনারাও থাকবে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক।
একাদশে সাকিব – মিরাজের সাথে আরেকজন স্পিনারতো লাগছেই এমন কন্ডিশনে। যেহেতু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বল করার জন্য ফিট না সেই ক্ষেত্রে একজনই এই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেই এগিয়ে রাখছেন মাশরাফি। যেহেতু ত্রিদেশীয় সিরিজে তিনি দূর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। এই ক্ষেত্রে মোসাদ্দেক দলে জায়গা পেলে কপাল পুড়তে যাচ্ছে সাব্বির রহমানের।